রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭০ বছরের অতীত তুলে বিজেপির কংগ্রেসকে (Congress) আক্রমণ নতুন কিছু নয়। সেই ধারা বজায় রেখেই এবার ভোট বাজারে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নয়া সুর তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলের উপর ক্রুদ্ধ গোটা দেশ। নিজেদের পাপের শাস্তি পাচ্ছে কংগ্রেস দল। পাশাপাশি তাঁর দাবি, একটা সময়ে ৪০০ আসন জেতা কংগ্রেস আজ ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ।
রবিবার রাজস্থানের ঝালোর জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রথম দফার নির্বাচনে অর্ধেক রাজস্থান কংগ্রেসকে শাস্তি দিয়েছে। গোটা রাজস্থানবাসী দেশভক্ত। তাঁরা জানেন কংগ্রেস দলটা কখনও দেশকে শক্তিশালী করতে পারবে না।” হাত শিবিরকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে ভারত যে অবস্থায় ছিল দেশবাসী এখন সেটা চায় না। কংগ্রেস পরিবারবাদ ও দুর্নীতির উইপোকা ছড়িয়ে দেশকে ফাঁকা করে দিয়েছে। আজ গোটা দেশ কংগ্রেসের উপর ক্ষুব্ধ এবং তাদেরকে পাপের শাস্তি দিচ্ছে। একটা সময় যে দল ৪০০ আসন জিতেছিল আজ তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে অক্ষম।”
একদিকে ধর্মের জিগির তোলার পাশাপাশি ভোটের বাজারে বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে বিজেপির (BJP) অস্ত্র পরিবারবাদ থেকে দুর্নীতি। যদিও পালটা বিজেপির পরিবারবাদের উদাহরণ তুলে ধরে শাসক শিবিরকে আগেই জবাব দিয়েছিল বিরোধীরা। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে একাধিক সংস্থা থেকে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের কোণঠাসা করতে এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগও নতুন কিছু নয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সাম্প্রতিক সময়ে এই সকল ইস্যু জনমানসে গুরুতর আকার ধারণ করার আগেই অতীতের পুরানো অস্ত্র কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের প্রয়োগ করলেন মোদি।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের ২৫ লোকসভা আসনের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনে এখানে ১২ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। আগামী ২৬ এপ্রিল বাকি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজস্থানে জোরকদমে প্রচার শুরু করছেন মোদি। রবিবারে মরুরাজ্যের ঝালোর জেলায় প্রচারে যান প্রধানমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.