ফাইল ছবি।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদ্রাসায় ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের শিশু। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। এই ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরগঞ্জে ১০ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেন ওরফে বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’ বা র্যাব। গ্রেপ্তার শিক্ষকের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ৩০ আগস্ট কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নির্যাতিত ছাত্রের বাবা মাদ্রাসা শিক্ষক বেলাল হোসেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হোসাইন মহম্মদ নাইমকে (৩৩) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র ৫ বছর আগে মাদ্রাসায় ভরতি হয়। ১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার শৌচালয়ে নিয়ে ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। এরপর ২৭ আগস্ট সকালে তাকে আবার ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর ওই দিনই ছেলেটি বাড়ি চলে যায়। বিকেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছেলেটির বাবাকে ফোন করে তাকে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠাতে বলেন। মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার কথা বললে ছেলেটি কান্না শুরু করে। একপর্যায়ে ছেলেটি তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলে। তারপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় নির্যাতিত ছাত্রের পরিবার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ষণ যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে মাদ্রাসা পড়ুয়া নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ। সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মারা যান নুসরত৷ তবে শেষমেশ আদালত ১৬ জন দোষীকে ফাঁসির সাজা দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.