সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদের ছুটি কাটিয়ে আর ঘরে ফেরা হল না। বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অন্তত ১৩ জনের। আহত আরও বেশ কয়েকজন। ফরিদপুরের কানাইপুরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা (Accident) ঘটে। মৃত ১৩ জনের মধ্যে চারজনই এক পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর ফরিদপুর-করিমপুর হাইওয়েতে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ ফরিদপুরের কানাইপুরে একটি পিক আপ ভ্যানে চড়ে ঢাকা (Dhaka) ফিরছিলেন সরকারি কর্মী রফিক মোল্লা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও দুই নাবালক পুত্র। উলটোদিক থেকে আসছিল যাত্রীবাহী বাস। মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে দুর্ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। তাঁরা বেশিরভাগই পিক আপ ভ্যানের যাত্রী বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, ”সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন মারা যান। নিহতরা পিক আপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের (Death) মধ্যে এক পরিবারের ৪ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা ফরিদপুরের বোয়ালমারির বেজিডাঙা গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের রফিক মোল্লা, তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম, দুই ছেলে রুহান ও হাবিব। দুই ছেলের বয়স ৬ ও ৩ বছর। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইদের ছুটি শেষে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিক আপ ভ্যানে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু ফেরা আর হল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.