প্রতীকী ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দি রয়েছেন ১৫০ ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন মহিলা। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে তাঁরা ইতিমধ্যে সাজা খেটেছেন। এখন প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। ১৫০ জন ভারতীয় নাগরিক ছাড়াও রয়েছেন পাঁচজন মায়ানমারের এবং একজন করে পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিক। উচ্চ আদালতের আদেশের পর কারা অধিদপ্তরের পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদনটি হলফনামা করে উচ্চ আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারের কথায়, সাজা খাটা হলেও অন্য দেশের নাগরিক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব ব্যক্তিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়াও সম্ভব নয়। দেশের পূর্ব জেলা মৌলভিবাজারের শ্রীমঙ্গল দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতের ত্রিপুরার কমলপুর থানার বাসিন্দা গোবিন্দ উড়িয়াকে (২৬) আটক করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। বিচার শেষে আদালত গোবিন্দ উড়িয়াকে ২ মাস ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ে বলা হয়, মেয়াদের চেয়ে চারদিন বেশি সাজা ভোগ করে ফেলেছেন গোবিন্দ। তাই তাঁর প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে মৌলভির জেলা কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশ দেয় আদালত।
এই রায়ের পর দুবছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু প্রত্যাবাসন হয়নি গোবিন্দ উড়িয়ার। ফলে কারামুক্তিও ঘটেনি। এনিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন করে একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ওই প্রতিবেদনটি নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি হাই কোর্টে রিট পিটিশন জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। গোবিন্দ উড়িয়ার কারামুক্তি ও তার প্রত্যাবাসনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিটে। গত ১৫ জানুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর অন্তর্বর্তী আদেশে গোবিন্দ উড়িয়াকে কারামুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.