ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের কক্সবাজারে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে নিহত দুই রোহিঙ্গা-সহ ৬ জন৷ মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের শামলাপুর ও কক্সবাজারে কাটাপাহাড় এলাকায় গুলিযুদ্ধ হয়। অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলার এক কিশোরকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতেও পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে ১৬ মামলার আসামি হাফিজুর রহমান তিতাস নিহত হয়েছে।
এদিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ হয় একদল ইয়াবা পাচারকারীর৷ কক্সবাজারে নিহতদের মধ্যে রয়েছে টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরের আবদুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ, উখিয়ার জামতলি রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত রহিম আলির ছেলে আবদুস সালাম ও কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলি এলাকার জহির হাজির ছেলে ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলু। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, দালালরা রোহিঙ্গাদের পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করছে – এমন খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল শামলাপুর এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পালটা গুলি ছোঁড়ে। এতে দু’জন নিহত হয়। ওসি জানান,নিহত দু’জন সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকাপয়সা আত্মসাৎ করছিল। এছাড়া কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলু গুলিযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সোমবার রাত আড়াইটা নাগাদ কক্সবাজার শহরের কাটাপাহাড় এলাকায় গুলিযুদ্ধ হয়।
ময়মনসিংহে এক যুব লিগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা। নিহত রেজাউল করিম রাসেল ওরফে পিলপিল জেলার যুব লিগ নেতা বলে পরিচিত৷ সোমবার রাত ৯টা নাগাদ শহরের মোগলটুলী এলাকায় কর্ণফুলী পেপার হাউজের সামনে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। কুমিল্লায় নিহত ছাত্র চলতি বছর একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.