ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: মা ও মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে রীতিমতো কালঘাম ছুটল পুলিশের। উমরপুর ইউনিয়নের কামালপুর থেকে গুলি করে অভিযুক্ত খোকন মিয়াকে প্রতিহত করে পুলিশ। অভিযুক্তেকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ায় তার বাবাকেও পাকড়াও করা হয়েছে।
বাগেরহাটের কচুয়ার ধননগর গ্রামের বাসিন্দা খোকন। খুলনার এক যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় সে। খুলনার বাসিন্দা এক গৃহবধূকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওসমানিনগরে থাকতেও শুরু করে খোকন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে গৃহবধূর কিশোরী মেয়েকে নিয়ে যায় খোকন। নিখোঁজ হয়ে মহিলার মেয়ে। ইতিমধ্যেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। ৪ সেপ্টেম্বর কিশোরী সুযোগ বুঝে তার মাকে ফোন করে। খোকনের কুকীর্তি খুলে বলে সে। অভিযোগ, খোকন তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণও করেছে। মেয়ের অভিযোগ শুনে ওসমানিনগর থানায় দৌড়ে যান মহিলা। সেখানেই খোকনের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করেন।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশও ওই কিশোরীর খোঁজ শুরু করে। উমরপুরের কামালপুরে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে। খোকনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঠিক সেই সময় ছেলেকে বাবা এগিয়ে আসে খোকনের বাবা জাহাঙ্গির। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালায়। খোকনের ডান পায়ে গুলি লাগে। অভিযুক্তকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ খোকনের বাবাকেও গ্রেপ্তার করেছে।
ওসমানিনগর থানার ওসি এস এম আল মামুন বলেন, “কিশোরীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভরতি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ খোকনকেও হাসপাতালে ভরতি করা রয়েছে। দু’জনে সুস্থ হওয়ার পরই তদন্ত শুরু হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.