সুকুমার সরকার, ঢাকা: শনিবার রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আবদুল মাজেদ (Abdul Majed) ফাঁসি হয়। তারপরই তাঁর মৃতদেহটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুরে কবর দেওয়া হয়েছে। আর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই প্রবল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় এলাকায়।
প্রথমে ভোলায় তার মৃতদেহ কবর দেওয়ার কথা ছিল। এই কথা জানার পরেই ভোলার সাধারণ মানুষরা সেখানে কবর দিতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেন। এরপরই মাজেদের পরিবারের লোকেরা ঢাকার অদূরে লাশ কবর দেয়। মাজেদের শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে শনিবার রাত তিনটের সময় তার লাশ কবরস্থ করা হয়।
কিন্তু, সকালে সেই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সোনারগাঁওয়ে মাজেদের লাশ কবর দেওয়া নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে সেখান থেকে লাশ অপসারণের দাবি জানান। সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামি লিগ ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁওয়ে কবর দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অনেকে মাজেদের লাশ অপসারণ না করা হলে তা কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।
শনিবার স্থানীয় সময় ঠিক রাত ১২ টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয় তাকে। তার আগে দুপুরে কেরানিগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মহড়া করেন জল্লাদরা। বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে মহম্মদ আবুল, তরিকুল ও সোহেল-সহ ১০ জন জল্লাদের একটি দল তৈরি করে ঢাকা জেল কর্তৃপক্ষ। নতুন নির্মিত কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে এই প্রথম কোনও দোষীর ফাঁসি কার্যকর হল। ফাঁসির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে আবদুল মাজেদের সঙ্গে শুক্রবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবারের ৫ সদস্য সাক্ষাৎ করে। ছিলেন মাজেদের স্ত্রী, শ্যালক ও কাকা শ্বশুর-সহ ৫ জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.