সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে উলটপুরাণ। এবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিরুদ্ধে চড়ছে সুর। কয়েকমাস আগেও ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশে সর্বত্র দাম বেড়ে গিয়েছিল পণ্যটির। অনেকেই ভারতের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি সাময়িক বন্ধের দাবিতে মানবববন্ধন করেছে কৃষকদের সংগঠন সেন্টার ফর ইভালুয়েটিং অ্যান্ড অ্যাগ্রো মার্কেটিং সেন্টার (সিফামস)। বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশে পেঁয়াজ চাষি ও কৃষি অধিকার কর্মীদের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিফামসের উপ-সমন্বয়ক মহম্মদ সিরাজুল ইসলাম। সমন্বয়ক ইসলাম বলেন, “আগামী চার মাস পেঁয়াজ আমদানি না করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে কৃষকরা বাঁচবে। তাহলে পরের বছর কৃষকরা আবারও পেঁয়াজ চাষ করতে উৎসাহিত হবে।” তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার আমি পাবনা জেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। অথচ ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ২০ টাকা করে পড়েছে। এতে কৃষকদের লোকসান হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, পেঁয়াজ চাষিদের ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করতে অন্তত পেঁয়াজের মৌসুমে যেন কোনও পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানববন্ধনে সিফামসের নেতা-সহ বিভিন্ন কৃষকরা।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের অভাব পূরণ করতে আর দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়েছে। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনও ভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না। গত অর্থবর্ষে ২২ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল ভারত। কিন্তু, এবার দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪৫০০ টাকা প্রতি একশো কেজি পেরোতেই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.