সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Coronavirus) মহামারীর প্রকোপ কমতে না কমতেই বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে আরেক সংক্রামক রোগ – মাঙ্কিপক্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অতি সংক্রামক রোগটি। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি। বাংলাদেশে (Bangladesh) এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরে করোনার পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, ‘‘এটি রুটিন প্রক্রিয়া। আমরা বন্দরগুলোতে চিঠি দিয়েছি। আমাদের থার্মাল স্ক্যানার আছে, তাতে ডিটেক্ট করা যাবে। কী কী উপসর্গ থাকতে পারে, তাও আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বন্দরগুলোতে যেসব চিকিৎসক আছেন, সিভিল সার্জনদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে যে এই ধরনের উপসর্গযুক্ত কোনও রোগীকে পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পৃথক রাখতে হবে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালগুলোকে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি।’’ অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলামের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সতকর্তা জারি করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে ব্রিটেন, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইটালি, সুইডেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় মাঙ্কিপক্সের রোগীর সন্ধান মিলেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব রোগীর গায়ে, মুখে ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে, এমন দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন অথবা এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যাঁর একই রকম ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে বা নিশ্চিত অথবা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, এমন রোগীদের সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে- জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। জ্বর হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। শুরুতে এসব গুটি দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত, পায়ের পাতা-সহ দেহের অন্যান্য জায়গায়। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলিতে এ ধরনের রোগী দেখলেই
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.