সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রবাসী ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক। এই কাজে তার সঙ্গী ছিল উগ্রপন্থী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী। এই দুজন-সহ মোট ছ’জনকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুন্যালের বিচারক মহম্মদ মজিবুর রহমান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার পাশাপাশি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
অভিজিৎ হত্যার আসামিরা হল-সৈয়দ মহম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, শফিউর রহমান ফারাবী, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। এদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম ছাড়া বাকি চার আসামিকে অভিযোগ গঠনের সময় আজ আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আগেই জারি হয়েছে। এর মধ্যে জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে কারাগারে থাকা কয়েকজন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সওয়া ৯টার সময় স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে ঢাকা বইমেলা থেকে ফিরছিলেন অভিজিৎ রায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মৌলবাদীরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে হামলা ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক জখম হন তাঁর স্ত্রীও। পরদিন অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় রায় শাহবাগ থানায় এবিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর চার বছর পর গত ১৩ মার্চ এই ছ’জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন এই মামলার তদন্ত আধিকারিক ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। ফারাবী ছাড়া বাকি সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.