সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে দ্বিচারিতার চরম! কোটা বিরোধী আন্দোলনে পতন হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের। জুলাই বিপ্লবের জেরেই বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারই এবার মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি স্কুলে ভর্তির সুবিধার জন্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নিল।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরনো নিয়মে সরকারি স্কুলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল। এখন এই ৫ শতাংশের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরাও যুক্ত হবেন। অর্থাৎ সংরক্ষণের শতাংশের হার না বাড়িয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও।
সংরক্ষণের বিষয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন অফিসে অধ্যাদেশ আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের মতোই জুলাই গণঅভ্যুত্থান আহত বা শহিদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। এর পর ভর্তির সময় মূল কপি দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদদের তথ্য যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
যদিও মূল প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিরোধিতা করেই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে নেমেছিল বিপ্লবী ছাত্রদল। সেই আন্দোলনের জেরেই পতন হয়েছিল হাসিনা সরকারের। এর পর গঠিত হয়েছিল ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বতী সরকার। এখন গদিতে বসে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সংরক্ষণের পথে হাঁটল ইউনুসের সরকার। বলা বাহুল্য, যা চরম দ্বিচারিতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.