সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের বিমান ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাই চেষ্টার মামলায় ঢাকার নায়িকা শামসুন্নাহার শিমলাকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আধিকারিকরা। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন শিমলার প্রাক্তন স্বামী পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদি ওরফে মাহিবি জাহান। নিহত পলাশ আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শিমলা। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিমলাকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘শিমলার কাছ থেকে নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আগে তদন্তে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে শিমলার কাছ থেকেও প্রায় সেই তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। পলাশের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে ডিভোর্স পর্যন্ত প্রত্যেকটা ঘটনা বর্ণনা দিয়েছেন শিমলা। বলেছেন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েই পলাশ তাকে বিয়ে করেছেন। যখন প্রতারণার বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে, তখন দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। শিমলা বলেন, ‘তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ আমাকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে। বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার যে বক্তব্য আমি মিডিয়ায় দিয়েছি, একই বক্তব্য আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনেও দিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় চিত্র নায়িকা শামসুন্নাহার শিমলা মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কার্যালয়ে যান। এরপর মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারীকরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। শিমলা তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান বিয়ের আগে পলাশ নিজেকে লন্ডন প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। লন্ডন, গুলশান, নারায়ণগঞ্জে নিজস্ব বাড়ি থাকার কথা জানান। কিন্তু বিয়ের পর পলাশের প্রতারণা ধরা পড়ে শিমলার চোখে। এরপর থেকে দুজনের সম্পর্কের ফাটল ধরে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এরপর পলাশের সাথে কোনও যোগাযোগ ছিল না নায়িকা শিমলার। দীর্ঘ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা না করার বিষয়ে ভারতে শুটিংয়ের কারণে ব্যস্ত থাকার কথা জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.