সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমারে (Myanmar) রাতারাতি সেনা অভ্যুত্থানে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। তবে ‘ভঙ্গুর” গণতন্ত্রের এমন দশা হওয়ারই ছিল। সর্বশক্তিমান সামরিক ‘জুন্টা’কে বাগে আনার কোনও চেষ্টা করেননি নেত্রী আং সান সু কি। আর পড়শি দেশে এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ (Bangladesh)। গোটা ঘটনাচক্রের উপর নজর রাখছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে আন্তর্জাতিক চাপের পরোয়া না করে কেনই বা দেশের দখল নিল সেনা? কি হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার? ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকেই কি শরণার্থীদের বোঝা বইতে হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমেরিকা, চিন, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হয়েছে ঢাকার। মায়ানমারের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চায়। মায়ানমারের সেনা অভুত্থান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন তাঁর বিবৃতিতে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার হুমকি দিয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সু কি’কে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। আবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র সেনা অভ্যুত্থান সত্বেও বুঝিয়ে দিয়েছেন মায়ানমারে যাই ঘটুক না কেন, বরাবরের মতোই দেশটির পাশে থাকবে বেজিং। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান করাটা জরুরি। আবার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখার রাখার বিষয়েও দেশকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সব পক্ষকে আস্থায় নিয়ে নিজেদের স্বার্থে কৌশল ঠিক করতে হবে।
এদিকে, মায়ানমারের নতুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, এই মুহূর্তে মায়ানমার যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা করেছে সেখানে ১১ জন মন্ত্রীর কথা শোনা গিয়েছে। নতুন মন্ত্রীরা কাজ শুরু করলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখছে না ঢাকা। সে দেশে বেশিরভাগ সময়ে এ ধরনের সরকার ছিল। তার জন্য সম্পর্ক বন্ধ রাখার কোনও কারণ নেই। তবে এখনও পর্যন্ত নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি বলে তিনি জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.