সুকুমার সরকার, ঢাকা: কিছুতেই থামছে না করোনার মৃত্যুমিছিল। ক্রমেই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এহেন সংকটের মুহূর্তে চরম আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা। তাঁদের অনুমান, বাংলাদেশে প্রতিদিন ১০ হাজার করে মানুষের মৃত্যু হতে পারে করোনায়।
করোনা মহামারী রুখতে হাসিনা সরকার বাংলাদেশে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ইতিবাচক ফলও মিলেছে। আন্তর্জাতিকমহল থেকে প্রশংসা মিলেছে বিস্তর। লকডাউনের ফলে নোভেল করোনা ভাইরাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সময় পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকরাও। তবে ‘ইমপেরিয়াল কলেজ কোভিড-১৯ অ্যানালিসিস টুলস’-এর দেওয়া তথ্যানুসারে বাংলাদেশের জন্য চরম আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে-সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা থাকবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। এ সময় দিনে ১০ হাজার করে মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন বলে গবেষকরা আশঙ্কা করেছেন।
অবশ্য এই ধরণের কোনও গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গণনা করা সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর বলে মনে করেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা। কেননা শুধু সংখ্যার গড় হার এবং অনুপাত বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ আক্রান্তের সংখ্যা বের করা সম্ভব নয়, এখানে আরও অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা হিসেবে আসছে না। সরকার যেভাবে এপ্রিল ও মে মাসে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে একইভাবে যদি আগামী কয়েক মাসেও দৃঢ় লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে, তাহলে কখনই মৃত্যুর হার এত বেশি হবে না।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হন আরও দুই সংসদ সদস্য। তারা হলেন প্রাক্তন প্রধান হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ এবং গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খান। বাণিজ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মোট ১২ সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ১৪ জুন করোনায় আক্রান্ত্র হয়ে মারা যান প্রাক্তন মন্ত্রী ও শাসকদল আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মহম্মদ নাসিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.