সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) কারাগারগুলো থেকে সঙ্গী জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা (Terrorist)। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব কারাগারকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা। এছাড়াও জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসবাদী-সহ বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধির উপর কঠোরভাবে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। কারা বিভাগের আইজি চিঠিতে ১৮টি নির্দেশিকা দিয়েছেন।
চিঠিতে আইজি প্রিজনস উল্লেখ করেন, কিছু দুষ্কৃতী কারাগারে বন্দি জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, ফোনও করেছে। তিনি আরও বলেন, “কারাগার একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। দুষ্কৃতকারীদের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে বন্দির পলায়ন-সহ যে কোনও দুর্ঘটনায় কঠোর হওয়া কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধান দায়িত্ব। সম্প্রতি কিছু কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শৈথিল্যের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। দেশের সমস্ত কারাগারে যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।” এমন পরিস্থিতিতে কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
আইজি প্রিজনসের দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি কারাগারে একজন ডেপুটি জেলার, একজন প্রধান কারারক্ষী ও পাঁচজন কারারক্ষীর সমন্বয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্বপালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট নিশ্চিত করে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা, ডিউটিতে সশস্ত্র সেন্ট্রি নিয়োগ করা, অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারাগারের অস্ত্রাগার থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যেন দ্রুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় মহড়া আয়োজন করতে হবে। কারাগারের চারপাশের সীমানাপ্রাচীর সুরক্ষিত রেখে এবং অ্যালার্ম সিস্টেম পরীক্ষা করে প্রস্তুত করে রাখতে হবে। কারাগারে আটক জঙ্গি, আইএস, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর ও বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে। যেসব কারাগারে এ ধরনের জঙ্গি বন্দি রয়েছে সেসব এলাকায় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতে হবে।
এর আগে ২০১৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিনে-দুপুরে প্রিজন ভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে জঙ্গি মামলার তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। লালমনিরহাটের একটি হুমকির বিষয়ে তারা অবগত। সে বিষয়সহ নানা রকম বিষয় মাথা রেখে দেশের সব কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.