ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গিয়ে কাতারে আটক বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট। অভিযোগ, তাঁর কাছে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। ফলে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করেন অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের কাছ থেকে আরও ১০০টি ‘বালাকোট বম্ব’ কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা]
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিম লাইনার বিমান নিয়ে কাতার যান পাইলট ফজল মাহমুদ। সেখান থেকে আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেরার কথা ছিল তাঁর। নিয়মমাফিক দোহা বিমানবন্দরে অভিবাসন দপ্তরের অধিকার্করা তাঁর পাসপোর্ট দেখতে চান। তখনই জানা যায় পাসপোর্ট সঙ্গে নিতে ভুলে গিয়েছেন পাইলট। এরপর তাঁকে আটক করেন অভিবাসন দপ্তরের অধিকারিকরা। বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিনই অন্য একটি বিমানে করে পাইলট ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট পাঠায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যদিও এই ঘটনার পর হাসিনার বিশেষ বিমানটি চালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্য এক পাইলটকে। শুক্রবার অর্থাৎ আজ কাতারের উদ্দেশে রওনা দেবেন নয়া পাইলট। আজ রাতেই অন্য একটি বিমানে ‘নন-অপারেটিং’ পাইলট হিসেবে মাহমুদকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এহেন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। বিমানবন্দর থেকে কীভাবে বিনা পাসপোর্টে ওই পাইলটকে রওনা করা হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তরের সচিব মহিবুল হক জানিয়েছেন, পাসপোর্ট ছাড়াই কিভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ান ভরেন ওই পাইলট, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, জাপান, সৌদি আরব ভ্রমণের পর আপাতত ফিনল্যান্ডে রয়েছেন শেখ হাসিনা। শনিবার বা আগামিকাল তাঁর কাতার পৌঁছানোর কথা। তারপর দোহা এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাড়ির মালিককে খুন, অস্ট্রেলিয়ার আদালতের রায়ে ৪২ বছরের সাজা বাংলাদেশি ছাত্রীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.