সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভূগর্ভে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি বাংলাদেশে (Bangladesh)। শনিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। যার নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে। নদীর নিচে এটাই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সড়ক টানেল বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার সকাল ৬টা থেকে এই টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামি লিগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোশারফ হোসেন, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। উদ্বোধনের সময় আতশবাজি পোড়ানো হয়।
শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রামের (Chittagong) পতেঙ্গা প্রান্তে সুইচ টিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। টানেলের প্রবেশের ডানদিকে নামফলক স্থাপন করা হয়। একই ধরনের ফলক স্থাপন করা হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার টানেলের টোল প্লাজা এলাকায়। এদিন ঢাকা (Dhaka) থেকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম পৌঁছে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে যান।টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী গাড়ি করে সেই পথে যান। টানেলের উলটোদিকে আনোয়ারা টোল প্লাজায় পৌঁছে টোল ট্যাক্স (Toll Tax) দেন। দেশের প্রথম টানেল সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩৯ কিলোমিটার। প্রধান টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এছাড়া সংযোগ সড়ক ৫.৩৫ কিলোমিটার লম্বা।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তারও আগে টানেল নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালের জুনে চিনের ঠিকাদারি সংস্থা চায়না কনস্ট্রাকশন কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে খননকাজ শুরু হয়। আর চার বছর পর সেই কাজ শেষে টানেলের উদ্বোধন হয়ে গেল। রবিবার থেকে গাড়ি চলাচলও শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.