শরণার্থী শিবিরগুলি হয়ে উঠেছে সন্ত্রাস ও মাদক পাচারচক্রের আখড়া।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই বাংলাদেশে। এবার ঘটনাস্থল রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজার এলাকা। যুব লিগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা দুষ্কৃতীকে শুক্রবার গভীর রাতে নিকেশ করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, কিশোরীর অভিযোগের কী জবাব দিলেন নোবেল?]
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীর নাম-মহম্মদ শাহ ও আবদুল শুক্কুর। টেকনাফ উপজেলার উদ্বাস্তু শিবিরের থাকতো তারা। বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন হচ্ছে যুব লিগ। ওই সংগঠনের ছাত্রনেতা ওমর ফারুকের হত্যায় জড়িত ছিল নিহত দুই দুষ্কৃতী। এদিন জদিমুরা পাহাড়ের নিচে গোপনে ঘাঁটি গেড়েছে দুই দুষ্কৃতী বলে খবর দেন গোয়েন্দারা। তারপরই টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ঐ ডেরায় হানা দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ডেরা ঘিরে ফেলা হয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশের উপর গুলি চালাতে শুরু করে দুই দুষ্কৃতী। পালটা হামলা চলে পুলিশ বাহিনী। অন্ধকারে একাধিকবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি দুই রোহিঙ্গা। শেষমেশ বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তারা।
উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, জদিমুরা পাহাড়ের কাছে ছাত্রনেতা ওমরের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুব লিগ নেতার ভাই আমির হামজা জানান, তাঁর দাদাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতী। তারপর পাহাড়ের নিচে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রায় নুয়ে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরগুলি হয়ে উঠেছে সন্ত্রাস ও মাদক পাচারচক্রের আখড়া।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জের, মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় নাজেহাল কক্সবাজারবাসী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.