সুকুমার সরকার, ঢাকা: সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার সময় ধৃত ৩৭ রোহিঙ্গা শরণার্থী। কক্সবাজারের রামুর রেজুখাল সেতু সংলগ্ন সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে ভিন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শরণার্থীদের মধ্যে ৪ শিশু, ১৭ মহিলা ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছে। তাঁরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় তিন মানব পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়ছে। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামু উপজেলার রেজুখাল সেতু সংলগ্ন সমুদ্রসৈকত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করা হয়। আটক রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রামুর হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসএম আতিকউল্লাহ খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১ মার্চ থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালি, উখিয়া, রামু, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন থেকে ৪৫ দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১হাজার ১১৬ জন শিশু, নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মহিলা। এসব ঘটনায় ৪৯জন পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের ঘটনায় ৯জন নিহতও হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন রোহিঙ্গা ও ছয’জন বাংলাদেশি।
উল্লেখ্য, মায়ানমারে বার্মিজ সেনার অভিযানের পর বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা। মানবিকতার নজির গড়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তবে জাল নথি যোগাড় করে অনেক শরণার্থীই প্রবেশ করছে ভারতে। অনেকেই আবার পাড়ি দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলিতে। পাশাপাশি, শরণার্থী শিবিরে বাড়ছে জঙ্গিদের আনাগোনাও। মায়ানমারে চলছে রোহিঙ্গাদের একাংশের জঙ্গি প্রশিক্ষণ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে রোহিঙ্গারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.