সুকুমার সরকার, ঢাকা: বেশ কিছু ধরেই বাংলাদেশের ভাঁড়ারে বাড়ন্ত মার্কিন মুদ্রা (US Dollar)। এর থেকে নিস্তার পেতে এবার ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা চালুর সুপারিশ এসেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় দু’দেশের এক আলোচনাসভায় এই প্রস্তাবটি তুলে ধরা হয়। এতে দু’দেশই সুবিধা পাবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ মেটায় রেমিটেন্স। বাংলাদেশের কোটির উপর মানুষ বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন। তাঁরাই দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। যে কারণে করোনা সংকটও দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের করণে সারা বিশ্বে জ্বালানি, খাদ্যের উপর প্রভাব পড়েছে। যার থেকে রেহাই মেলেনি বাংলাদেশেরও।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, ”ভারত ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থানীয় মুদ্রায় করতে পারে। এতে দুই দেশই সুবিধা পাবে।” একইসঙ্গে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য প্রদেশেও বিনিয়োগ ও পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী হওয়ার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI)) ও ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মসিউর রহমান। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার (Dhaka) একটি হোটেলে ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা বলেন, ”বর্তমানে সাতটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নকাজ চলছে। এগুলো শেষ হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও সহজ হবে।” পাশাপাশি বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কলকাতা (Kolkata) ও দিল্লি (Delhi) বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যতে সীমান্তবর্তী বর্ডার হাট কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, গত এক দশকে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং প্রস্তাবিত ‘সেপা’ চুক্তির বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও অগ্রগতি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.