সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের (coronavirus) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু হল টিকাদান পর্ব। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বেশ কয়েকজনকে দেওয়া হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।
এই টিকাদান পর্বের সঙ্গে রাজধানীর গণভবন থেকে ভারচুয়ালি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরপরই অনলাইনে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করার জন্য ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে আর বাঁধা থাকল না। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে দেশজুড়ে ব্যাপকহারে এই কার্যক্রম চলবে। ২০ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার দেওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছায়। সোমবার দেশে আসে বেক্সিমকোর কেনা তিন কোটি টিকার প্রথম ৫০ লক্ষ ডোজ। এর মধ্যে ৬০ লক্ষ টিকা দেওয়া হবে প্রথম মাসে, দ্বিতীয় মাসে ৫০ লক্ষ ও তৃতীয় মাসে ৬০ লক্ষ ডোজ। প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে তৃতীয় মাসে। চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ঢাকা থেকে দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনের কাছে টিকা পাঠাবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ভারত থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লক্ষ ডোজ টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জানিয়েছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ২৭ জন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী টিকা পাবেন। তারপর পর্যায়ক্রমে যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে তারা হলেন- কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি যুক্ত অনুমোদিত ৬ লক্ষ বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, ২ লক্ষ ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্মুখসারির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬২০ জন সদস্য, সামরিক ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৯১৩ জন সদস্য। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বন্ধু ভারতের টিকা হাতিয়ার করে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.