সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানবতার নজির গড়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য এই সম্প্রদায়টির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষুদ্র দেশটির অর্থনীতির পক্ষে বেশিদিন বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারবহন সম্ভব নয়। তাই এবার রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন হাসিনাবিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য এই সম্প্রদায়টির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মঙ্গলবার, রাজধানী ঢাকায় নিজের বাসভবনে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. গার্ড মুলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে মায়ানমারের উপর চাপ তৈরির জন্য জার্মানির কাছে আবেদন জানান তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য এক বিরাট বোঝা এবং তারা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। মায়ানমারকে দ্রুত বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যেতে হবে।” জার্মানিকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আরও বড় ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গার আগমন কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য একটি বড় সমস্যার কারণ হয়েছে তারা সংখ্যায় স্থানীয় জনগণকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও বাংলাদেশ মায়ানমারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে ওই দেশ স্বেচ্ছায় তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না এবং তারা চুক্তিও মানছে না।”
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, মাদক পাচার থেকে শুরু করে জেহাদি কার্যকলাপ। সবেতেই নাম উঠে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের একাংশ। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.