সাজাপ্রাপ্ত যুবক বিজিবি-র একটি আউটপোস্টের ছবি তুলে ভারতে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুবছরের জেল হল এক বাংলাদেশি ছাত্রের। গোদাগাড়ি উপজেলার বাসিন্দা ওই বছর তেইশের যুবকের নাম মিঠুন মিঞা। শনিবার সাহেবনগর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করার পর মোবাইল কোর্টে তার বিচার হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড-র বিভিন্ন পরিকাঠামোর ছবি তুলে বিএসএফ-কে সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে। রায় ঘোষণার পর ওই যুবককে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গোদাগাড়ি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মিঠুনকে গ্রেপ্তার করার সময় তার কাছে থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। ওই ফোনে একটি ভারতীয় কোম্পানির সিম লাগানো ছিল। এছাড়া ওই মোবাইলে কিছু ছবিও ছিল যা সে গত ২৪ মার্চ ভারতে থাকা সম্পর্কিত ভাই মহিদুল ইসলামকে পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন-‘বিরক্ত করবেন না’, সাংবাদিকদের দেখে মেজাজ হারালেন কারাবন্দি খালেদা জিয়া]
এবিষয়ে জেরা করা হলে ধৃত মিঠুন জানায়, গত ৩ মার্চ সাহেবনগর সীমান্তে থাকা আউটপোস্ট ও একটি লাইট মেশিনগান বাংকারের ছবি তুলে ২৪ মার্চ ভারতে থাকা মহিদুল ইসলামকে পাঠিয়েছে সে। বিজিবি-র আধিকারিকদের দাবি, মহিদুলের সঙ্গে বিএসএফ-র যোগসূত্র রয়েছে।
[আরও পড়ুন- কালবৈশাখীর দাপটে বিপর্যস্ত ওপার বাংলা, প্রাণহানি ৯ জনের]
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের একনম্বর ব্যাটেলিয়নের ডেপুটি কমান্ডার আসিক বুলবুল জানান, ধৃতের মোবাইলে কয়েকজন বিএসএফ আধিকারিকের ফোন নম্বরও ছিল।
[আরও পড়ুন-‘ভোটবাক্স ভরাতে পারলে উপহার বাইক-স্মার্টফোন’, তৃণমূল নেতার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক]
বিজিবি-র আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত মিঠুনের বিচার কেন মোবাইল কোর্টে করা হল? এর জবাবে তাঁরা জানান, এই বিষয়ে বিচারের পদ্ধতিতে নানা স্তর আছে। তা মেনেই ধৃতের বিচার মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমান আদালতে করা হয়েছে।ধৃতকে জেরা করে এই বিষয়ে আরও কারা জড়িত আছে তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.