সুকুমার সরকার, ঢাকা: আমফান আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় কাঁপছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম, খুলনা, পায়রা, মোংলা-সহ সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জারি হয়েছে সতর্কতা। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের দিকে কড়া নজর রাখছে আবহাওয়া অফিস। অঙ্ক কষতে ব্যস্ত আবহবিদরা। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ট্রলার ও ডিঙিনৌকাগুলিকেও সৈকত থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের বুকে অনেকটাই শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফান। মঙ্গলবার গভীর রাতেই তা আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা নইলে আরও বেশি গতিবেগ নিয়ে বুধবার বিকেলের মধ্যেই তাণ্ডব দেখাতে শুরু করবে প্রবল দাপুটে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, সেসময় তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের উপরেই থাকবে। ধীরে ধীরে সেই গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধির আশঙ্কা। এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে জারি রয়েছে বিশেষ সতর্কতা। তবে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর আর শক্তি তেমন থাকবে না। দুর্বল হয়ে পড়বে আমফান।
আজ সকালেই বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে আমফান সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকালে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় – চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১০৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০ ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে। আজ দিনভর আমফান প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে, গতিবেগ বাড়াবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এরপর তা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.