সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের মন পেতে এবার রোহিঙ্গা অস্ত্রে শান দিচ্ছে চিনে। শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আগেই মায়ানমারের উপর চাপবৃদ্ধি করেছিল বেজিং। এবার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ঢাকার আসছেন জিনপিং সরকারের দূত! বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকার উপর ভারতের প্রভাব খর্ব করতেই এই নীতি পরিবর্তন চিনের বলে মনে করা হচ্ছে।
২৬ মে, শুক্রবার ঢাকা আসছেন চিনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং। শনিবার বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনেj সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। সফর চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাত হতে পারে। তিনদিনের এই সফরকালে তিনি বাংলাদেশ থেকে বেজিংয়ে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সফর নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, চলতি মাসের প্রথমার্ধে চিনের পক্ষ থেকে দুই দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়। আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার বেজিং থেকে কোনও জ্যেষ্ঠ আধিকারিকের এটি দ্বিতীয় ঢাকা সফর। এর আগে গত জানুয়ারিতে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগামী সেপ্টেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দিল্লি সফরের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই সময় হাসিনাকে বেজিং নেওয়ার ব্যাপারে চিনের আগ্রহ রয়েছে।আর এই গোটা ঘটনাবলির উপর নজর রাখছে ভারত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধে চিনের ভুমিকা নেতিবাচক থাকলেও এখন ঢাকার মন জয় করতে মরিয়া কমিউনিস্ট দেশটি। ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের পাশে থাকলেও এবার বিষয়টি নিয়ে ঢাকার পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে বেজিং। শ্রীলঙ্কায় হামবানটোটা বন্দর চিনের দখলে। নেপালে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন বেজিং ঘনিষ্ট পুষ্পকমল দহল। আফ্রিকায় জিবৌতিতে নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে লালফৌজ। এবার বাংলাদেশেও শিকড় মজবুত করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.