Advertisement
Advertisement
Bangladesh

মুক্তি আপাতত অধরাই! হত্যামামলায় চিন্ময় প্রভুকে জেলে গিয়ে জেরার নির্দেশ আদালতের

দু'দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা, রবিবার চট্টগ্রাম আদালত এই নির্দেশ দেয়।

Chinmoy Prabhu to be questioned two days into Chittagong jail, Bangladesh orders courts
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 18, 2025 3:45 pm
  • Updated:May 18, 2025 3:47 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপeত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রক্ষ্মচারীকে জেলে গিয়ে দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন মামলার তদন্তকারীরা। রবিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম আদালত। এদিন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মহম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ”মামলার তদন্ত আধিকারিকরা চিন্ময় প্রভুকে পৃথকভাবে দুই মামলার জন্য ২ দিন ধরে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।” অর্থাৎ তাঁর জেলমুক্তির আশু কোনও সম্ভাবনা নেই, তা স্পষ্ট।

দেশদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে চট্টগ্রামের কারাগারে বন্দি আছেন। একসময় তিনি ইসকনের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকলেও এখন সেখান থেকে বহিষ্কৃত। গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এনিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন ভক্তরা।

Advertisement

এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আর বিকেলেই আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় সাইফুলের বাবা জামালউদ্দিন বাদী হয়ে ছেলের হত্যা নিয়ে মামলা করেন। ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশ-সহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা দায়ের করে কোতোয়ালি থানায়।

এই পাঁচটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিন্ময় দাসের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে বলে দাবি পুলিশ। এরপর তদন্ত আধিকারিকদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ওই মামলাগুলিতে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তাই দেশদ্রোহ মামলায় তাঁর জামিন মিললেও হত্যামামলায় এখনও জেলবন্দি বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের অন্যতম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। আইনি প্রক্রিয়া যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে আপাতত মুক্তির সম্ভাবনাও নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement