ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: নোভেল করোনা (Corona) ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যেকোনও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারপরও শুক্রবার ঢাকার অনেক মসজিদেই জুম্মার নমাজে অংশ নিতে অনেক মুসল্লি উপস্থিত হন। এর মধ্যে একটি মসজিদে বেশি লোক কেন নমাজ পড়তে এসেছে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আর তা থেকে লেগে যায় মারামারি। এর ফলে এক মুয়াজ্জিন-সহ সাত মুসল্লি জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজারের অবস্থিত মসজিদে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনার জেরে এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতেই প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর মৃত্যুর হারও অন্য অনেক দেশের থেকে বেশি। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মসজিদে না এসে বাড়িতেই নমাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। মসজিদ কমিটিগুলিকেও খুব বেশি মানুষের জমায়েত না করতে বলা হয়। কিন্তু, তাতে যে কোনও কাজ হয়নি শুক্রবারই তার প্রমাণ পাওয়া গেল। সরকারের নির্দেশ মোতাবেক নমাজ আদায়কে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মুসল্লিদের কথা কাটাকাটি হয়। আর তার থেকে বেঁধে যায় মারামারি। এর ফলে সাতজন জখম হন।
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবার জুম্মার নমাজে সর্বোচ্চ ১০ জন জামাত আদায় করতে পারবেন। কিন্তু, কার্তিকপুর বাজারের অবস্থিত মসজিদে বেশি মুসল্লি উপস্থিত হন। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরেই গন্ডগোল লেগে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার সকাল থেকে অনেক মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের মসজিদে না এসে বাড়িতে জোহরের নমাজ পড়তে আহ্বান জানানো হয়। তারপরও বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও মুসল্লিরা জুম্মার জামাতে অংশ নিতে হাজির হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ফিরিয়ে দিন।
এমনকী দুপুরে আজানের আগেই রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের উদ্দেশে বলা হয়, মসজিদে না এসে বাসায় জোহরের নমাজ আদায় করতে। কিন্তু, এমন অনুরোধের পরেও ঢাকার মিরপুর, মহম্মদপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের সামনে মুসল্লিদের দেখা যায়। যদিও কর্তৃপক্ষ মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.