ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: চিনে কিছুতেই থামছে না করোনা ভাইরাসের হামলা। মৃতের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ওই দেশ থেকে ফল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ।
সদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে সরকারের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। আপাতত চিন থেকে ফল আমদানি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, চিনা ফল আমদানি বন্ধ হলে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে কোনও সমস্যা আপাতত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। ফল আমদানিকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এমনই তথ্য জানিয়েছেন। চিন থেকে বাংলাদেশে ফল আমদানি হয় এবং এই ফলের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে ‘ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সেলিমুল হক ইসা বলেন, ‘চিনে নববর্ষের ছুটি ছিল গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগে থেকে যেগুলো এলসি সেগুলো আসছে, বাকি প্রক্রিয়া তারাও বন্ধ রেখেছেন।’
ব্যবসায়ীরা জানান, চিনও এখন প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাচ্ছে না এক্সপোর্ট করার জন্য। তবে রমজান মাসে এই নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ মালদ্বীপ, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফল আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, মারণ রোগ করোনা থাবা বসিয়েছে চিনের অর্থনীতিতেও। চিনা পণ্যের চাহিদা না কমলেও, করোনার ভয়ে অনেক দেশই আমদানিতে লাগাম টানার কথা ভাবছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার না খোঁজার আবেদন জানিয়েছিল বেজিং। করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে চলা চিনা প্রকল্পগুলিতে পড়বে বলে অকপটে কবুল করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তবে মহামারীর আশঙ্কায় চিনের সেই আরজি খারিজ করে দিয়েছে হাসিনা প্রশাসন বলেই মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.