সুকুমার সরকার, ঢাকা: গত ২ বছর ধরে মহামারী কোভিডের (COVID-19) দাপটে বিশ্বের চেহারাই বদলে গিয়েছিল। সংক্রমণ জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কোয়ারেন্টাইন, মাস্ক, টিকা – এসব শব্দের সঙ্গে পরিচিত হতে হয়েছিল। ২০২২ সাল থেকে অবশ্য পরিস্থিতি ফের ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। করোনামুক্তির পথে ধাপে ধাপে এগিয়েছে বিশ্ব। এবার করোনাযুদ্ধ আরও জোরদার করতে, সংক্রমণ প্রতিরোধে কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হল বাংলাদেশে (Bangladesh)। মঙ্গলবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালত অধ্যাপক আহমেদুল কবীর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে ১৫ কোটি মানুষকে করোনা টিকা (Corona vaccine) প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এবার চতুর্থ ডোজ (Fourth Dose) দেওয়ার পালা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বয়স্করা করোনা টিকার ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব মানুষ চতুর্থ ডোজের টিকা আগে পাবেন। এদিন সারা দেশের টিকা কেন্দ্রগুলিতে একযোগে কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। সারা দেশের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলিতে এই টিকা দেওয়া হবে। করোনায় প্রথম সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীরা আগে এই টিকা পাবেন। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর নেওয়া যাবে চতুর্থ ডোজ।
প্রতিবেশী দেশ চিনে ফের করোনার চোখরাঙানি। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে চিনে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪ লক্ষেরও বেশি। অভিযোগ, এমনকি দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থাও করেনি প্রশাসন। ফলে কোভিড পুরোপুরি নির্মূল না হওয়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.