অঙ্কন: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২০ জন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯০। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৭২ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন যে ১০ জনের মৃত্যু করেছেন তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা। মৃতদের মধ্যে ঢাকার ভিতরে ৭ জন এবং বাইরে ৩ জন। বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানী ঢাকার মহাখালি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। বুলেটিনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পূর্বের সংগৃহীত কিছু নমুনা-সহ মোট ৩ হাজার ৯৬টি পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ৩৯০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জনে।
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির উন্নতি তো দূরের আরও অবনতির কারণে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি। মঙ্গলবার জাতীয় কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় সাধারণ ছুটি আরও বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। ছুটি বাড়ানো হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই! এখনও অফিস খুলে দেওয়ার সময় আসেনি। এখন করোনার চূড়ান্ত সময় যাচ্ছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছুটি বর্ধিত বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশন আসেনি। ২/১ দিনের মধ্যে নির্দেশ আসতে পারে।’ প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার বর্ধিত ছুটি ঘোষণা হলে তাতে কিছু নতুন নির্দেশ থাকতে পারে। তবে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বলা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর। তবে একই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘এখনA ছুটি বর্ধিত করার বিষয়ে কোনও নির্দেশ পাওয়া যায়নি।’ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সাধারণ ছুটির মধ্যেই সীমিত আকারে খোলা রয়েছে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি নিত্যপণ্য, ওষুধ-সহ জরুরি সেবাগুলো খোলা রয়েছে।
তৃতীয় দফা ছুটি ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা বলে হয়েছে। তিনি জানান, সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মিটিংয়ের সামারি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছি। সেখানে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আগামী ১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। সাধারণ ছুটি বাড়ানোর এক্তিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.