সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের হাত ধরে কি করোনামুক্ত হতে পারবে দুনিয়া? এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অন্তত সুস্থ হওয়ার পথের দিশা কি দেখাবে বাংলাদেশ? ডা. তারেক আলমের মন্তব্যে সে আশাই কিন্তু প্রকট। কারণ দুটি অত্যন্ত সাধারণ ওষুধের প্রয়োগে করোনা রোগীদের সুস্থ করে তুলেছেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই চলছে করোনামুক্তির খোঁজ। কোথাও গবেষকরা প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টাতে দিনরাত এক করে দিচ্ছেন, তো কোথাও জীবনদায়ী ওষুধ বানানোর পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এরই মধ্যে আশার খবর শোনালেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম। ডক্সিসাইক্লিন ও আইভারমেকটিন প্রয়োগে অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা রোগীর সুস্থ হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই দুটি ওষুধ প্রয়োগে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ৮০ শতাংশকে তিন-চার দিনের মধ্যেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। ওষুধের মূল্য ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ টাকা খরচ করেই প্রথম চারদিন ওষুধ সেবনের পর রোগীর করোনার প্রথম টেস্ট প্রথম নেগেটিভ আসে।
এই ওষুধ প্রয়োগের কথা কীভাবে মাথায় এল? আর কী গুণাগুণ আছে এই ওষুধের? বিস্তারিত জানালেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। বলেন, এই ওষুধে অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টি আছে। সার্স মহামারির সময় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ডেঙ্গুতেও একইরকম উপকারী। তাছাড়া এই দুটি ওষুধের কোনও পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই যে করোনা আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন কিংবা হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে (আইসিইউতে নয়) ভরতি, তাঁদের উপর প্রাথমিকভাবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সরকার চাইলে এই সব রোগীদের ওষুধ দুটি খাইয়ে দেখতেই পারে। ১ হাজার রোগীকে এই ওষুধ দিয়ে তিনদিন অন্তর পরীক্ষা করা যেতে পারে। যদি ফল ইতিবাচক আসে, তবে আমরা ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত করতে পারব। এর ফলে নিঃসন্দেহে দেশে সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়বে। প্রয়োজনে তুলে দেওয়া যাবে লকডাউনও। কেবলমাত্র ক্রিটিক্যাল রোগীদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, ইনটার্ন ও তাঁদের আত্মীয়-সহ মোট ৬০ জনকে ডক্সিসাইক্লিন ও আইভারমেকটিন ওষুধ দুটি দেওয়া হয়। সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল প্যারাসিটামল এবং কাশির সিরাপ। ফলও ইতিবাচক আসে। ওষুধ খাওয়ার তিনদিনের মধ্যেই রোগীদের ৫০ শতাংশ উপসর্গ কমেছে বলে দাবি তাঁর। আক্রান্ত হওয়ার চারদিন পর নমুনা পরীক্ষায় এসেছে নেগেটিভ। আর ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৪৫ জনের দ্বিতীয় পরীক্ষাও নেগেটিভ আসে। বাকিদের টেস্ট এখনও বাকি। তবে ওষুধটি ১৫ কেজি ওজনের বেশিদেরই দেওয়া যাবে। অন্তঃসত্ত্বাদেরও দেওয়া যাবে না।
ডা. তারেক আলম আরও জানান, বিদেশের ল্যাবেও এই ওষুধ দুটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। যদি ফল ইতিবাচক হয়, তবে এর প্রয়োগ সর্বত্রই হতে পারে। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ওষুধ ও তা তৈরির উপকরণ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.