সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ৭৯ বছরের সাজা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সাজা আর খাটা হল না। তার আগে মৃত্যু হল ‘ইয়াবা সম্রাট’ আমিন হুদার মারা। শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU) হাসপাতালের প্রিজন সেলে তার মৃত্যু হয়।
এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মহম্মদ মাহবুবুল ইসলাম জানান, কয়েদি আমিন হুদা শুক্রবার দুপুর একটার সময় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে মারা গেছে। হৃদরোগ-সহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিল। এর জেরে তার মৃত্যু হয়েছে। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তার মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশের পর প্রায় সাত বছর ধরে জেলে ছিলেন আমিন হুদা। এর মধ্যে কয়েক দফায় হাসপাতালের প্রিজন সেলে কাটিয়েছে প্রায় তিন বছর। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল-সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে জেরা করে গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে ১৩৮ বোতল মদ, পাঁচ কেজি ইয়াবা (১ লাখ ৩০ হাজার পিস) এবং ইয়াবা তৈরির যন্ত্র ও উপাদান উদ্ধার করা হয়।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই আমিন ও তার সহযোগী আহসানুল হককে ৭৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দু’জনকে ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। তবে এক সঙ্গে সাজা চলার কারণে আমিন হুদাকে সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেলে থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। এরপর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে জামিন চায় আমিন। ২০১৩ সালে হাই কোর্ট তাকে জামিনও দেয়। কিন্তু, সরকার ফের আবেদন করলে ওই বছরের ৫ মে আপিল বিভাগ জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘ইয়াবা সম্রাট’কে আত্মসমর্পণ করতে বলে। ঢাকা হাই কোর্টকেও আপিল নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেয়। আপিল বিভাগের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণের পর থেকে জেলেই ছিল আমিন। কিছুদিন আগে শরীর খারাপ হওয়ায় শেখ মুজিব হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাকে। শুক্রবার সেখানে মারা যায় সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.