সুকুমার সরকার, ঢাকা: এ যেন শুরুতেই হোঁচট! এই প্রথম এত বড় কোনও নির্বাচন সম্পূর্ণ EVM-এর মাধ্যমে করতে গিয়েছিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে মিলল না খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কেমএম নুরুল হুদার আঙুলের ছাপ। পরে অবশ্য জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে তিনি ভোট দেন।
শনিবার সকাল পৌনে ১১টার সময় উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের IES স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে যান নুরুল হুদা। কলেজ ভবনের দোতলায় আট নম্বর বুথে তিনি ভোট দিতে ঢোকেন। EVM মেশিনে তাঁর দুই হাতের বুড়ো আঙুল স্ক্যান করা হয়। কিন্তু, কোনও আঙুলের ছাপই মেলেনি। এরপর সেখানে উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকরা তড়িঘড়ি জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে তাঁর ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
পরে এপ্রসঙ্গে সহকারী প্রিসাইডিং আধিকারিক সিদ্দিকা বুলবুল বলেন, ‘মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দুটি বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়া হয়। তবে তা ম্যাচ করেনি। পরে আমরা আর চেষ্টা করিনি। তাড়াহুড়োর কারণে এবং ভোট প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা তাঁর NID নম্বর দিয়ে ভোট নিয়েছি।’ আর এবিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘কারও আঙুলের ছাপ না মিললেও ভোট দেওয়ার তিন-চারটি উপায় আছে। সেভাবেই ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।’
এদিকে আজ সকালে ধানমণ্ডির সিটি কলেজে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামি লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরে বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ দুই সিটিতেই আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হবে।’ এরপর ইভিএমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘EVM-এর মাধ্যমে ভোট দিলাম। খুব অল্প সময়ে সহজেই ভোট দিতে পেরেছি। ভোটের বুথে পুরো মেশিন দেখানো হল সব দলের এজেন্টদের সামনে। দেখা গেল এটি ফাঁকা। আমার আইডি কার্ড দেখল। এরপর আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হল। ইভিএম হল ডিজিটাল পদ্ধতি। এখানে ভোট জালিয়াতির কোনও সুযোগ নেই। বিএনপি এসব নিয়ে আপত্তি করতে পারে। ওদের চরিত্রই এমন। এ দেশে ভোট চুরি শুরু করেছে ওরা। কিন্তু, ইভিএমে চুরির কোনও সুযোগ নেই। সেই জন্যই আপত্তি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.