সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্ষণের ঘটনা আটকানোর জন্য বিভিন্ন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। দেশজুড়ে নারীদের উপর এই ধরনের অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। কিন্তু, তারপরও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে নিজের সন্তানকেও পর্যন্ত ছাড়ছে না বাবা। পূরণ করছে নিজের পাশবিক কামনা। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে উত্তর প্রান্তে অবস্থিত রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন এলাকায় দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করত অভিযুক্ত ব্যক্তি। আগে অন্য জায়গায় থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে বিষ্ণুপুরে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল সে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অর্থ রোজগারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও কাজ না করলেও তার স্ত্রী স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। তাঁর ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করলেও বড় মেয়ে বাবার সঙ্গে বাড়িতেই থাকত। কিছুদিন আগে স্ত্রী কাজে ও ছোট মেয়ে স্কুলে চলে যাওয়ার পর ১৯ বছরের বড় মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ (Rape) করে ওই ব্যক্তি। তারপর থেকে সুযোগ পেলেই নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করত সে।
গত মঙ্গলবার রাতেও বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এতদিন লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে না পারলেও মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় ওই কিশোরীর। তাই বুধবার সকালে বদরগঞ্জ থানায় গিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে। এর ভিত্তিতে বুধবারই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে বদরগঞ্জ থানার OC হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি রংপুর মেডিক্যালে কলেজ ও হাসপাতালে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.