সুকুমার সরকার, ঢাকা: মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে বাংলাদেশ (Bangladesh)। হেফাজতে ইসলামের ইন্ধনে হওয়া হিংসাত্মক আন্দোলনে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। তারপর থেকেই শুরু হয় ধরপাকড়। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গেই উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার জানা গিয়েছে, যৌন কেলেংকারির পাশাপাশি বিদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো অর্থ আত্মসাৎ করেছে হেফাজতের নেতারা।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা বা রোহিঙ্গাদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে প্রচুর টাকা আসে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আর্থিক মদত পাঠান। ওই টাকা মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও প্রবাসীরা দান করে থাকেন। সেই টাকা হেফাজত নেতারা নয়ছয় করেছে। রবিবার রাজধানী বিকেলে ঢাকায় মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম জানান, হেফাজত নেতারা ওই টাকা তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করেছে। বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান আলম।
উল্লেখ্য, ঢাকার অদূরে সোনার গাঁওয়ে এক যুবতী নিয়ে আপত্তিজনক অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয় এই মামুনুল হক। ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্য দিয়ে অনেক মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক কাসেমিকেও। তার অ্যাকাউন্ট থেকেও বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.