সুকুমার সরকার, ঢাকা: আলোর উৎসবে মৌলবাদের ছায়া। কালীপুজোর দিনই বাংলাদেশে কালী মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীদের একটি দল। ভাঙচুর চালানো হয় কালাচাঁদ মন্দিরেও। এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সেমবার অর্থাৎ কালীপুজোর (Kali Puja) দিনই দিনাজপুর জেলায় একটি কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীদের একটি দল। তার একদিন আগেই সিরাজগঞ্জ জেলার কালাচাঁদ মন্দিরে হামলা করে মৌলবাদীরা। মন্দিরে থাকা দেবী সরস্বতীর প্রতিমা ভাঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কালী মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হচ্ছে–রাশেদ (২২), বেলাল (২৪), রকি (২০) ও তুষার (২২)। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হুমায়ুন কবীর আশ্বাস দিয়েছেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। দিনাজপুর-রংপুর সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা।
কয়েকদিন আগেই ঝিনাইদহ জেলার দউতিয়া গ্রামে একটি প্রাচীন কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিমার গলা কেটে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দুর্গাপুজোয় সন্ত্রাসবাদী হামলা ও সাম্প্রদায়িক হিংসার আশঙ্কা ছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবেই শারদোৎসব পালিত হয়েছে। কিন্তু কালী মন্দিরে হামলা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে দেশের সম্প্রদায়িক শক্তিগুলি হিংসা উসকে দিতে বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আওয়ামি লিগের (Awami League) সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে বদনাম করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার চক্রান্ত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই এই পরিকল্পনা করেছে একটি অশুভ চক্র। বলে রাখা ভাল, গত বছর বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একের পর এক হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তারপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.