সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে এবার উদ্যোগী জাপান। এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। ঢাকায় সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, সতর্ক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]
সোমবার, তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছন জাপানের বিদেশমন্ত্রী তারো কোনো। তারপরই রোহিঙ্গা সমস্যা-সহ একাধিক ইস্যুতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। রোহিঙ্গা সংকট চলতে থাকুক, জাপান তা চায় না বলে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে এদিন জানান তারো কোনো। সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী। টোকিওর এই প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে ঢাকার তরফে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন কোনো। আজ অর্থাৎ বুধবার মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেবে জাপানের বিদেশমন্ত্রী। বার্মিজ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা চালাবেন তিনি বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেন্দ্র করে ক্রমে পারদ চড়ছে ঢাকা ও নাইপিদাওয়ের মধ্যে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘে জানানা যে, সংখ্যা কমলেও রাখাইন থেকে এখনও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। এই সমস্যার সমাধানে ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মায়ানমার। তারপর ৫৫ হাজার উদ্বাস্তুর তথ্য নাইপিদাওয়ের হাতে তুলে দিয়েছে ঢাকা। তবে নানা আইনি জটিলতায় এখনও দেশে ফিরতে পারেননি শরণার্থীরা। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানো যাবে বলে মনে করছে হাসিনা সরকার। প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রায় নুয়ে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এদিকে, নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে ফের রাখাইন প্রদেশে ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারাও। তাঁদের অভিযোগ, ফিরে গেলে ফের হামলা চালাবে বার্মিজ সেনা। সেক্ষেত্রে শরণার্থী হয়ে থাকলে অন্তত প্রাণে বাঁচতে পারবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় পাশবিক লালসার শিকার ৪ ছাত্রী, গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠাতা ‘বড় হুজুর’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.