সুকুমার সরকার, ঢাকা: কুলিদের লাগেজ বহন করতে দিতে হবে, ট্রাকচালক ও খালাসিরা পেট্রাপোল (Petrapol) সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) বেনাপোলে যাওয়ার পর একইদিনে ফেরার অনুমতি দিতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে গত রবিবার অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু মঙ্গলবার সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। ফলে ফের পেট্রাপোল-বেনাপোল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হয়েছে বাণিজ্য।
জানা গিয়েছে, ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দুই দফা দাবি মেনে নেওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল এবং বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় পাঁচশো ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড়শো ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাঁদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিএসএফের ট্রাক তল্লাশিতে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনও সমাধান না মেলায় বাধ্য হয়ে বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠনটির ডাকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয়। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর একই দাবিতে স্থলবন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। শেষে কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে ২২ তারিখই তা উঠে যায়। কিন্তু এবার দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে নামবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কমিটির সদস্যরা। গত সোমবার দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত ছিল কর্মবিরতি। যার জেরে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। এদিকে, পাসপোর্ট অফিস-সহ বিভিন্ন কাজের জায়গাও বন্ধ থাকায় বিপাকে এপারের আটকে পড়া বাংলাদেশিরাও। শেষমেশ, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনার পর এই সমস্যার রফাসূত্র মেলায় আপাতত আন্দোলন থেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.