ছবি: প্রতীকী।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন এক সন্তানের মা। আর তাই গিয়েছিলেন বিষ কিনতে। কিন্তু সেখানেই গণ্ডগোল! বিষ কিনতে গিয়ে প্রেমে পড়লেন বিক্রেতার। সেই প্রেম এগিয়েও ছিল অনেকটা। দেখা-সাক্ষাৎ, একসঙ্গে ঘোরাফেরা, এমনকী শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। কিন্তু বিয়ের কথা উঠতেই বেঁকে বসেছে দোকানি। প্রেমিককে রাজি করাতে শেষে অনশনে বসেছেন ওই প্রেমিকা। এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে বাংলাদেশের পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জে।
এক সন্তানের মা সীমা আক্তার। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন সীমা। সেই সময় বিষ কিনতে গিয়ে করবেন বলে বিষ কিনতে গিয়ে দোকানদারের প্রেমে পড়েন তিনি। তার পর স্বামীকে তালাকও দেন। এখন সেই প্রেমিকও তাঁকে বিয়ে করতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। বিয়ের দাবিতে দোকানদার প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন সীমা।
নতুন প্রেমিক মহম্মদ রায়হান (২৫) সুবিদখালি বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা। শুক্রবার সীমা আক্তার (২০) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের মধু চাপরাশির ছেলে শহিদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তার ৩ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তাই রায়হানের দোকান থেকে তিনি বিষ কিনতে যান। এ সময় রায়হান তাকে বাঁধা দিলে তাঁদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কের রূপ নেয়।
সীমার অভিযোগ,পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান রায়হান। এমনকী, রায়হান কৌশলে আগের স্বামীকে তালাক দিতেও বাধ্য করেন। পরে রায়হান তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাই তিনি গত ২ মে থেকে বিয়ের দাবিতে রায়হানের বাড়ির সামনে ধরনা দিচ্ছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি জানান, “স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে আমরা ভুক্তভোগী সীমাকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.