সুকুমার সরকার, ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হবে। এই উপলক্ষে বছরভর বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছরটিকে ‘মুজিববর্ষ’ বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। সারা বছর ধরে দেশজুড়ে চলা বিভিন্ন কর্মসূচিগুলি শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ।
অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও বর্ণাঢ্যময় করে তুলতে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি ও মুজিব পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ঢাকার ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ করেছে হাসিনা সরকার। ঢাকার আশা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অবশ্যই বাংলাদেশ সফরে আসবেন নরেন্দ্র মোদি। আসার কথা রয়েছে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও।
শুক্রবার ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। ভারতের তিন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে তাঁরা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে পাবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহিদ হওয়া ৩০৮ জন ভারতীয় সেনার পরিবার সম্মান জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ হওয়া ভারতীয়দের সম্মান দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অটুট রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। চক্রান্তকারীরা কোনওভাবেই একে নষ্ট করতে পারবে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। যুদ্ধের জন্য আমাদের সংগ্রামী জনতাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভারতের প্রায় ১৭ হাজার সৈন্য শহিদ হয়েছিলেন। আরও অনেকে জখম হন, এটি ভোলার নয়।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.