সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সম্পর্ক। এমনই পরিস্থিতিতে ফের সীমানা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিল নাইপিদাও। এবার বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মালিকানা দাবি করল মায়ানমার। এই বিষয়ে বার্মিজ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
[H2O মানে রেস্তোরাঁ! বাংলাদেশি সুন্দরীর উত্তর শুনে হেসে খুন বিচারক]
সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রকের ‘মেরিটাইম অ্যাফেয়ারস ইউনিটের’ প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসারপ্রাপ্ত) মহম্মদ খুরশেদ আলমের দপ্তরে মায়ানমারের রাস্ট্রদূত উ লুইন ও-কে তলব করা হয়। সেখানে তাঁর হাতে সু কি সরকারের দাবির প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ পত্র দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সংবাদ সংস্থা ইউএনবিকে এক সাক্ষাৎকারে মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির জন্যই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মায়ানমার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে নাইপিদাও। তাই ঢাকাকে বেকায়দায় ফেলতে এবার সীমা বিবাদ উসকে দিতে চাইছে দেশটি। সমস্ত পরিকল্পনার নেপথ্যে আসলে রয়েছে বার্মিজ সেনা। সর্বশক্তিমান সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া আরও কোনও রাস্তাও নেই সু কি সরকারের হাতে।
ইতিহাস অনুযায়ী, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কখনই মায়ানমারের অধীনে ছিল না। ১৯৩৭ সালে দ্বীপটি বৃটিশ ভারতের অধীনে ছিল। স্বাধীনতা ও দেশভাগের পর, ১৯৪৭ সালে সেন্ট মার্টিনের মালিকানা বর্তায় পাকিস্তানের হাতে। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ দ্বীপটির মালিক হয়। এর আগে এই দ্বীপ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা লড়ে দুই দেশ। ২০১৭ সালের মার্চে বাংলাদেশের পক্ষেই রায় দেয় আদালত।
[পুজোয় অশান্তি রুখতে বাংলাদেশ পুলিশের কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.