Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বাংলাদেশের নতুন দলের ঘোষণায় কোরান-গীতা-বাইবেল পাঠ ছাত্রদের, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাঝে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র বার্তা?

কয়েকদিন আগেই সংবিধান সংস্কার কমিশন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।

New party of Bangladesh forms by reading holy book
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 28, 2025 7:09 pm
  • Updated:February 28, 2025 7:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পথ চলা শুরু করেছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’(এনসিপি)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে এই নতুন রাজনৈতিক দলের। আর দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে গীতা, বাইবেল, কোরান, ত্রিপিটক পাঠ করেন ছাত্ররা। এই মুহূর্তে মহম্মদ ইউনুসে বদলের বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে শতাধিক মন্দির। এছাড়া কয়েকদিন আগেই সংবিধান সংস্কার কমিশন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আজ কি ‘ধর্মনিরপেক্ষ’দেশ গড়ারই ডাক দিলেন ছাত্ররা?

এদিন ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বিকাল ৪টে ২০ নাগাদ কোরান পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা)। এরপর পবিত্র গীতা পাঠ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা অর্পিতা শ্যামা দেব। পরে ত্রিপিটক আবির বড়ুয়া এবং বাইবেল পড়েন অলিক মৃ। তাঁরাও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা। এরপর সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গান। তারপরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পাশাপাশি সবাইকে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী শহিদদের জন্য প্রার্থনা করতে বলা হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। তাই বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির কোনও প্রয়োজন নেই। সেই বিষয়কে মান্যতা দিয়েই নতুন খসড়া তৈরি করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিকে বাদ হয়েছে নয়া সুপারিশে। সেই নতুন খসড়াই তুলে দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের হাতে।

এদিকে, গত কয়েক মাস ধরে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া হারে বেড়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো একাধিক দেশ। কিন্তু এখনও সেরকম কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ফলে ছাত্ররা কি পারবেন, এই সংখ্যালঘু নির্যাতনে লাগাম টানতে? বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়া থেকে আটকাতে পারবেন? উঠছে এমনই প্রশ্ন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement