সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমার ঘেঁষা বাংলাদেশে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানা এলাকার তিন ড্রাগস কারবারির বিলাসবহুল তিনটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে এই তিন কুখ্যাত ড্রাগস কারবারির রাজপ্রাসাদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সরকারি হিসাব বলছে, ভারতীয় বাজারে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা বা তারও বেশি।
[ আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরানোর উদ্যোগ, ওআইসির সমর্থন দাবি হাসিনার]
পুলিশ জানিয়েছে, টেকনাফের নাজিরপাড়ার এজাহার মিঁয়া এবং তার দুই ছেলে, নুরুল হক ভুট্টো ও নূর মহম্মদের বাংলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ দু’মাস আগেই পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছেন নূর মহম্মদ। বাকি দু’জন অভিযুক্ত পলাতক৷ জানা গিয়েছে, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার সকালে টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকায় ইয়াবা কারবারীদের রাজপ্রাসাদে অভিযান চালায়৷ ওই সময়ই তিন ইয়াবা ড্রাগস কারবারির বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের বের করে, তার দখল নেয় পুলিশ৷ ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘‘এই প্রথম আদালতের নির্দেশে তিন ইয়াবা কারবারির বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাড়িগুলি এখন পুলিশের হেফাজতে থাকবে। আদালতে নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
[ আরও পড়ুন: প্রয়াত ভাষা সৈনিক লায়লা নূর, শোকের ছায়া সাহিত্য জগতে ]
স্থানীয় সূত্রে খবর, একসময় রিকশা ও ভ্যানচালক ছিল এজাহার মিঁয়া ও তার দুই ছেলে৷ কিন্তু টাকার লোভে এই অসৎ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তারা নিষিদ্ধ ড্রাগসের ব্যবসা শুরু করে৷ অল্পদিনের মধ্যেই কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় লবণ চাষী, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে এই মারণ ড্রাগস ইয়াবা বিক্রি করত অভিযুক্তরা। সমগ্র বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ইয়াবা কারবারিরা। এদের অনেকেই আবার গ্রেপ্তারও হয়েছে৷ কয়েকজনকে খতম করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.