সুকুমার সরকার, ঢাকা: বৃহস্পতিবার আরব দুনিয়ায় পবিত্র রমজানের (Ramadan) সূচনা হয়েছিল। আর শুক্রবার তা শুরু হল বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার (Asia)ইসলামিক দেশগুলিতে। কিন্তু রমজানের শুরুর দিনই বাজারের চড়া দামে হাতে ছ্যাঁকা মধ্যবিত্তের। কেনাবেচা সারতে অন্যান্য বছর যেখানে ঢাকার কাঁচা বাজারগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে, সেখানে এবার ক্রেতাদের তেমন দেখা নেই। মহাখালি ও বনানীর কাঁচা বাজারে যাঁরা বাজার করতে আসছেন, তাঁরা মন ভরে বাজার করতে পারছেন না।
রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে অত্যন্ত বাড়তি দামে। আগুন মাংসের বাজারেও। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (Bangladesh) হিসেব অনুযায়ী, গত বছরের রমজানের চেয়ে এবারের রমজানে প্রতিটি পণ্যের দাম ১০ থেকে ৫১ শতাংশ বেশি রাখা হচ্ছে। রমজানে ছোলার চাহিদা থাকায় কেজি প্রতি দাম বেড়ে ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১২০ টাকা। মসুর ডাল ৯৫ থেকে বেড়ে ১৩৫ টাকা, বিভিন্ন ধরনের বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেসনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সয়াবিন তেল কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২- ১২০ টাকা কেজি দরে।
ইফতারে প্রধান উপকরণ খেজুর (Dates)। সেটাও বলা যায় নাগালের বাইরে। খেজুরের মধ্যে আজওয়া খেজুর কেজি প্রতি ১৬০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৮০০ এবং মাশরুম খেজুর ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাংসের দামেও যেন আগুন। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ২৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মূলত রমজানকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগেই বেড়েছিল, এর মধ্যে মুরগির মাংস-সহ কয়েকটি পণ্যের দাম গত এক সপ্তাহের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ কী? বিক্রেতাদের দাবি, তারা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনছেন, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.