সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অসহায় অবস্থায় পড়ে ভবঘুরে মজনুর ধর্ষণের শিকার হন। এখন ওই ছাত্রী যৌন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ডাক্তাররা। কেননা ঘটনার দিনও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিজের যৌন রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল ধর্ষক মজনু।
RAB-এর আধিকারিকরা বলছেন, নিজের মতো মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের যৌন নির্যাতনের টার্গেট করত মজনু। কুর্মিটোলার ঘটনাস্থলে সে একই অপকর্ম আগেও করেছে। কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের ওপর অত্যাচার না করায় আগে ধরা পড়েনি। বিকৃত মানসিকতার এই যুবক অনিরাপদ জীবনযাপনের কারণে সংক্রমণ রোগ-সহ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছে। সেই কারণেই ধর্ষিতার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ডাক্তাররা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এবং ছোটবেলা থেকে অপরাধ করার কারণে বিকৃত মানসিকতা তৈরি হয়েছিল মজনুর। রেললাইনের বস্তিতে এমন অনেক মজনু আছে। এরা মজনুর দেখানো পথে ধর্ষণের মতো অপরাধ সংঘটিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
RAB-এর গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, মজনু মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাদের আটকে রেখে ধর্ষণ করত। এই কারণেই এতদিন তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটা অপরাধী মানসিকতার প্রকাশ। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে মাদকাসক্তি ও ছিনতাইয়ের মতো কাজ করায় সে নির্দয় মানসিকতা তৈরি হয়েছে মনে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ফুটপাতে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক গ্রহণের কারণে সংক্রমণ ব্যাধি-সহ তার শরীরে রোগের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে।
গত রবিবার ঢাকার শেওড়ায় বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠেছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু, ভুল করে শেওড়ার আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে বাস থেকে নেমে পড়েন তিনি। আর তারপরই ধর্ষণের শিকার হন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.