ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: মামলা-মোকদ্দমা, পদযাত্রা অনেক হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা কমেনি। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে, এবার ধর্ষকদের জন্য প্রয়োজন ‘হায়দরাবাদ এনকাউন্টার’। এমনটাই দাবি উঠেছে বাংলাদেশের সংসদে।
সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দেশ। ক্ষোভের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে সংসদেও। একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ও দোষীদের শাস্তি দিতে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় বাড়ছে আম জনতার ক্ষোভ। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ধর্ষকদের ‘হায়দরাবাদ এনকাউন্টার’-এর ধাঁচে খতম করার দাবি করলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নু। শাসক দলের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদও এই দাবিকে সমর্থন জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরির সভাপতিত্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ধর্ষণের বিষয় উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের পর পরই সাভারে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতো বাসের মধ্যে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ধামরাইতে একই কাণ্ড ঘটে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে এহেন ঘটনা থামছে না। তাই সময় এসেছে চিন্তা করার, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হোক।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “টাঙ্গাইলে বাসে ধর্ষণের পর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। সেদিন যদি পুলিশ ওই পাঁচ ধর্ষককে মধুপুরে নিয়ে গুলি করে মারত, তাহলে কিন্তু অন্য কেউ আবার ধর্ষিত হত না। ধর্ষক গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জবানবন্দি নিয়ে ওইখানেই তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হোক।” আওয়ামি লিগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, “মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেককে এভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে পাঁচ ধর্ষককে এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে। তারপর সে দেশে ধর্ষণের ঘটনা কমে গিয়েছে। কাজেই আমি অন্য দুই সংসদ সদস্যর সঙ্গে একমত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.