সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা মহামারীর জেরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে চার দিলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন-সহ সমস্ত যাত্রীবাহী যান চলাচল। ফলে ভারতে আটক পড়েছেন কয়এক হাজার বাংলাদেশি নাগরিক। দেশে ফেরার দাবিতে স্থলবন্দর পেট্রাপোলে আটকাপড়া আড়াইশোরও বেশি বাংলাদেশি বিক্ষোভ করছেন। এহেন পরিস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুমতি দিল ঢাকা।
সূত্রের খবর, দেশে ফিরতে ৩০০টি আবেদন জমা পড়েছে কলকাতা উপ-হাইকমিশনে। সোমবার সীমান্ত বন্ধ হওয়ার দিনই এহেন কাণ্ড ঘটেছে। কলকাতা উপ-হাইকমিশন সূত্রে খবর, বাংলাদেশে ফিরতে চেয়ে প্রায় ৩০০টি আবেদন জমা পড়েছে। তবে এসব আবেদন যাচাই বাছাই করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকাকালীন যেসব বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে তাঁরাই শুধু অনুমতি নিয়ে ফিরতে পারবেন। অনুমতিপত্র ও ৭২ ঘণ্টা আগের করোনা নেগেটিভ টেস্ট সাপেক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন তাঁরা।
গত বছর থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারীর পর দুই দেশের সীমান্তে চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ১৭টি স্থল সীমান্তের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা কেবলমাত্র বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বাকি সব সীমান্তপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে আটকে পড়া বেশিরভাগ বাংলাদেশি নাগরিকই চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। দেশে ফেরার জন্য সোমবার সন্ধ্যার পর পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁদের অনেকেরই সোমবার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর খরচ চালানোর মতো টাকাও তাঁদের হাতে নেই। কুষ্টিয়া থেকে চিকিৎসা করাতে ভারতে যাওয়া স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, “হঠাৎ করে সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছি আমরা। কারণ দেশে ফিরতে হলে কোভিড-১৯ টেস্ট লাগবে।” ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির সঙ্গে সব ধরনের সীমান্ত বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।আগামী ৯ মে পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.