সুকুমার সরকার, ঢাকা: আজও তাঁদের তাড়া করে ফেরে রক্তাক্ত দিনগুলির স্মৃতি। ভিটেমাটি খুইয়ে কোনওমতে চার বাই চার-এর ঝুপড়িতে বেঁচে থাকা। শরণার্থী হয়ে জীবন কাটাতে চান না তাঁরা। তবুও দেশে ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, ফের যদি হামলা চালায় বার্মিজ সেনা। সম্পত্তি যাক, এখানে অন্তত প্রাণ যাবে না।
[রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে আধার-প্যান, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য ]
সম্প্রতি, শরণার্থীদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মায়ানমার। এই মর্মে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে চুক্তিও। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন মায়ানমারের নেত্রী সু কি। তবুও কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা নিজেদের ভিটেয় ফিরতে চাইছে না। তাঁরা মনে করছেন সেখানে ফের তাঁদের উপর হামলা চালাতে পারে সেনা। এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘ তাঁদের অভিযোগকে সমর্থন করেছে। তারা জানায়, এখনও শরণার্থীদের ফেরত যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি মায়ানমারে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। গত বছর আগস্ট মাস থেকেই রাখাইন প্রদেশে শুরু হয় প্রবল সংঘাত। বার্মিজ সেনার বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। তারপরই জঙ্গিদমনে নামে সেনা। অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করার নামে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা করে সরকারি বাহিনী। ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
[ভিটে ফেরত পেতে চলেছেন ১ লক্ষ রোহিঙ্গা]
অন্যদিকে, রাইসিনা ডায়লগে অংশ নিতে নয়াদিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি-ভুক্ত মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন তিনি। মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক শিবিরের চাপ বজায় রাখার উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন আলি। একই সঙ্গে ‘বন্ধু’ ভারতকেও এই ইস্যুতে পাশে থাকার আবেদন জানান তিনি। আলি বলেন, “জাতিসংঘে মায়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণে মুসলিম দেশগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আশা করছি, আগামী দিনেও সেটি অব্যাহত থাকবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.