সুকুমার সরকার, ঢাকা: অবশেষে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে মায়ানমার। বাংলাদেশের দেওয়া ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে তিন হাজার ৫৪০ জনকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাইপিদাও। আগামী ২২ আগস্ট থেকে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপ বাড়াচ্ছিল বাংলাদেশ। এই বিষয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আলাদা চুক্তিও করে মায়ানমার। সেই চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের মায়ানমার পাঠানোর তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু, মায়ানমারে গেলে নিরাপত্তা পাবে না বলেই আশঙ্কা ছিল রোহিঙ্গাদের। তাই শরণার্থীর ফিরে যেতে অসম্মত হয়। প্রায় এক বছর আগে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়। সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ও মায়ানমারের আধিকারিকরা।
মায়ানমার বিদেশসচিব ও মুখপাত্র মিন্ট থো বলেন, ‘২২ আগস্ট ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি আমরা।’ বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেন, ‘ছোট পরিসরে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যপর্ণ ছাড়া আর কিছুই চায় না।’
গত মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে মায়ানমারের বিদেশ সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। দু’দিন ধরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা এবং বৈঠকও করেন। এই সময়ে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে ফিরে যাওয়ার পর মায়ানমারের নাগরিকত্ব ও চলাফেরায় স্বাধীনতার দাবি জানানো হয়। তাদের সেই দাবি মেনে নিয়ে সমস্ত রকমের নিরাপত্তা ও নাগরিক সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.