সুকুমার সরকার, ঢাকা: দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার বাংলাদেশের অভিজাত খুলনা ক্লাবে প্রেমিকা প্রিয়ন্তির সঙ্গে সাঁত পাকে বাঁধা পড়লেন অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। কিন্তু বিয়ে করতে গিয়ে চোরের দৌরাত্ম্যে নাস্তানাবুদ দশা হল খ্যাতনামা এই ক্রিকেটারের। চোর ধরতে বিয়ের আসরে হাজির হতে হয় উর্দিধারীদেরও! তবে বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
সদ্যই একটি ভিডিও পোস্ট করে সৌম্য সরকার জানিয়েছিলেন তাঁদের প্রেমের গল্প। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে ২৬ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বাঁধছেন ওই যুগল। স্বাভাবিকভাবেই সেদিকেই নজর ছিল সকলের। নির্ধারিত সময়ে বরবেশে খুলনা ক্লাবে পৌঁছেও যান সৌম্য। টকটকে লাল শাড়িতে কনের সাজে প্রস্তুত ছিলেন প্রিয়ন্তিও।
কিন্তু সেখানেই আচমকা ঘটে বিপত্তি। একে একে বিয়ের আসর থেকে সৌম্যর বাবা, বিশিষ্ট শিল্পপতি দীনবন্ধু মিত্র, সৌম্যের এক বন্ধু-সহ ৭ জনের মোবাইল ফোন খোয়া যায়। টের পেতেই খোয়া যাওয়া মোবাইলে ফোন করতেই একজনের পকেটে সেগুলি বেজে ওঠে। এরপরই অভিযুক্তকে আটকে তাঁর থেকে ফোন গুলি উদ্ধার করে বরযাত্রীরা।
গোটা বিষয়টি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরই সহযোগিতার পরিবর্তে ক্রিকেট তারকার পরিবারের উপর চড়াও হয় তাঁরা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিয়ের আসরে। খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয়। বাধ্য হয়ে খবর দেওয়া হয় থানায়। বিয়ের আসর থেকে গ্রেপ্তার করা ২ জনকে। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় সৌম্য-প্রিয়ন্তির বিয়ে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অশান্তি হয়েছে। তবে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সু্ন্দরভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্রিকেটারের কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, এদিনের অশান্তির জন্য আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বর-কনের বন্ধুরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.